আমরা খাদ্য হিসেবে মসুরের ডালের ব্যবহার সবাই জানি কিন্তু মসুর ডাল যে ত্বকের এবং চুলের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে ব্যাপকভাবে কাজ করে সে সম্বন্ধে কতজন জানি? short hair, long hair চকচকে ও ঝলমলে করতে এবং fair skin অথ্যাৎ ত্বক মসৃণ ও ফর্সা করতে মসুর ডালের জুড়ি নেই।বিভিন্ন রকম ত্বকের যত্নে মসুর ডালের সেই ব্যবহার সম্বন্ধে চলুন এখন জেনে নেওয়া যাক।
১। ডার্ক সার্কেল:
অধিক রাত জাগা,অতিরিক্ত টেসশন করা,কোর রোগে পড়া ইত্যাদি কারণে চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে।যযাকে বলা হয় ডার্ক সার্কেল।এই ডার্ক দূর করার জন্য মসুরের ডাল ঘন্টাখানেক ভিজিয়ে রাখুন।তারপর ভালো করে বাটুন।এবার এই বাটা কোন পাতলা সুতি কাপড়ে নিয়ে পুঁটুলির মত তৈরী করুন।এই পুঁটুলি ২০ মিনিটের মত চোখের উপর দিয়ে রাখুন।
২। মেছতা:
অনেকের মুখে মেছতার দাগ দেখা দেয়।সুন্দর্যের হানি ঘটায় এই মেছতার দাগ।আর একাবার
শুরু হলে দিন দিন মেছতার দাগ বাড়তে থাকে।মেছতা থেকে রেহাই পেতে মসুর ডাল উপরের মত একইভাবে মসুরের ডাল ভিজিয়ে রেখে বাটুন।বাটা শেষে এর সাথে অ্যালোভেরার রস মেশান।এবার এই মিশ্রণ মেছতার দাগের উপর ভালো করে লাগিয়ে কমপক্ষে ৩০ মিনিট রেখে দিন।৩০ মিনিট পর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।যদি নিয়মিত ব্যবহার করেন, তবে খুব দ্রুত ভালো ফলাফল পাবেন।
৩। ক্ষতের দাগ:
ব্রণ,ফোঁড়া বা বসন্ত হওয়ার পর দাগ হয়ে যায়।এই দাগ হওয়া থেকে রেহাই পেতে মসুরের ডাল ব্যবহার করা হয়।কচি ডাবের পানি ও মসুরের ডাল একসাথে মিশানো হয়্ ,তারপর আক্রান্ত স্থানে প্রলেপ লাগিয়ে দেওয়া হয়।শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত দেরি করুন।এরপর আস্তে আস্তে ঘষে ঘষে পানি দ্বারা ধুয়ে ফেলুন।দেখবেন প্রতিদিন ব্যবহারে উপরোক্ত যেকোন ক্ষতের হাত থেকে রেহাই পাবেন।
৪। মাথার ত্বকের চুলকানি:
অনেকের মাথার ত্বকে খুশকি,ময়লা বা ফাঙ্গাসের কারণে চুলকায়।এই চুলকানি থেকে রেহাই পেতে মসুরের ডাল বেটে চুলের গোড়া এবং মাথার ত্বকে ভালো করে মাখিয়ে দিন।৩০ মিনিটপর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।দেকবেন কিছুদিন ব্যবহারে চুলকানি জনিত সমস্যা থেকে রক্ষা পাবেন।
৫। ত্বক ফেটে যাওয়া:
যাদের কোন চর্মরোগ বা আবহাওয়া জনিত কারণে ত্বক ফেটে যায়,তারা মসুর ডাল মিহি করে বেটে সেই ফাটা স্থানে প্রলেপ লাগান।শুকিয়ে যাওয়ারপর ধুয়ে ফেলুন।পায়ের গোড়ালী ফাটার জন্য ও একইভাবে ব্যবহারে ভালো ফলাফ পাবেন।