...

অন্ডথলি অস্বাভাবিকভাবে ফুলে যাওয়া কি কোনো রোগের লক্ষণ?

প্রশ্নঃ অন্ডথলি অস্বাভাবিকভাবে ফুলে যাওয়া কি কোনো রোগের লক্ষণ?

উত্তরঃ অন্ডথলি বা স্ক্রোটাম হচ্ছে দুই উরূর মাঝখানে ঝুলে থাকা ও ত্বকে আবৃত থলি বিশেষ। ত্বকের নিচে পাঁচ ধরনের পেশীস্তর ক্রমান্বয়ে বিন্যস্ত থাকে। সবকটি স্তর মিলিত হয়ে যে ব্যাবধায়ক নির্মাণ করে সেটি স্ক্রোটামের গহ্‌বরকে দুইভাগে ভাগ করে। প্রত্যেক ভাগ একটি করে শুক্রাশয় ও তার এপিডিডাইমিস এবং শুক্রাণুর কিছু অংশ ধারণ করে। এটি শুক্রাণু উৎপন্নের অণুকূল তাপমাত্রা রক্ষা করে। এছাড়া শুক্রাশয়কে চাপজনিত ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। চাপের মুখে শুক্রাশয় থলির ভেতর সহজেই পিছলে যেতে পারে।

অন্ডথলি

অন্ডথলি অস্বাভাবিকভাবে ফুলে যাওয়া কি কোনো রোগের লক্ষণ?

 অণ্ডথলি ফুলে যাওয়া হলো অণ্ডথলি অস্বাভাবিক বড় হওয়া। আর অণ্ডথলি হলো এমন একটা থলি যার মধ্যে অণ্ডকোষ থাকে। যেকোনো বয়সী পুরুষের অণ্ডথলি ফুলে যেতে পারে। এর সাথে ব্যথা থাকতে পারে, আবার না-ও থাকতে পারে। এটা অণ্ডথলির এক পাশে অথবা দু’পাশেই হতে পারে। অণ্ডকোষ এবং পুরুষাঙ্গ জড়িত থাকতে পারে, অথবা না-ও থাকতে পারে।

অণ্ডথলি ফুলে যাওয়ার কারণ :

– আঘাত
– হার্নিয়া
– কনজেসটিভ হার্ট ফেইলিওর
– হাইড্রোসিল
– অণ্ডকোষের প্রদাহ
– অণ্ডকোষে প্যাঁচ খাওয়া
– ভ্যারিকোসিল বা অণ্ডথলির শিরার স্ফীতি
– কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ
– যৌনাঙ্গ এলাকায় শল্য চিকিৎসা

পড়ুন  প্রশ্নঃ লিঙ্গ অনেক ছোট, গার্ল ফ্রেন্ড কে চুমু বা জরিয়ে ধরলে লিঙ্গ উত্তেজিত হয় না, সেক্সে ১-২ মিনিটের বেশি থাকতে পারি না সমা্ধান কি?

অণ্ডকোষে প্যাঁচ খাওয়া একটি মারাত্মক জরুরি অবস্থা। এক্ষেত্রে অণ্ডথলির মধ্যে অণ্ডকোষ পেঁচিয়ে যায় এবং এর ফলে অণ্ডকোষে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। যদি দ্রুত প্যাঁচ খোলা না যায় তাহলে অণ্ডকোষ স্থায়ীভাবে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

অন্ডথলি সমস্যার ঘরোয়া চিকিৎসা :

– প্রথম ২৪ ঘণ্টা অণ্ডথলিতে বরফের সেক দিতে হবে। এরপর সিজবাথ নিলে ফোলা কমবে।

– যদি ব্যথা তীব্রহয় তাহলে একটি তোয়ালে পাকিয়ে অণ্ডকোষের ঠিক নিচে দু’পায়ের মাঝে রাখতে হবে। এতে ব্যথা ও ফোলা দুটোই কমবে।

– দৈনন্দিন কাজ করার পর ঢিলেঢালা অ্যাথলেটিক সাপোর্টার পরা যেতে পারে। ফোলা কমে যাওয়া না পর্যন্ত কাজকর্ম করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

কখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন :

যদি আপনার অণ্ডথলি ফুলে যায়, যদি ফোলাটা ব্যথাযুক্ত হয়, কিংবা যদি অণ্ডকোষে চাকা অনুভব করেন তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন। চিকিৎসকের দেয়া যথাযথ অ্যান্টিবায়োটিক ও ব্যথানাশক ওষুধ নিয়মিত সেবন করুন।

লিখেছেন : ডা. মিজানুর রহমান কল্লোল
জেনারেল ও ল্যাপারোস্কপিক সার্জন এবং মূত্ররোগ বিশেষজ্ঞ।

অাপনার স্বাস্থ্য সমস্যার যেকোন বিষয়ে প্রশ্ন করুন এখানে (নাম ও ঠিকানা গোপন রাখা হয়)

পড়ুন  পার্লি পেনাইল প্যাপিউলস কি ?

ফেসবুক কমেন্ট

comments

About সাদিয়া প্রভা

সাদিয়া প্রভা , ইন্ডিয়ার Apex Group of Institutions এর BBA এর ছাত্রী ছিলাম। বর্তমানে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য বিয়সক তথ্য নিয়ে লেখালেখি করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.