...

মোবাইলে গান শুনছেন? কানের ভিতর কী ঘটছে জানলে আঁতকে উঠবেন!

আমাদের কানের সহ্যমাত্রা ৮৫ ডেসিবেল। অর্থাৎ মোটামুটি হেয়ার ড্রায়ার বা মিক্সার গ্রাইন্ডার চলার শব্দ যতখানি তার চেয়ে বেশি জোরে শব্দ একটানা বেশিক্ষণ শুনলে ক্ষতি হয় কানের।

কানের ক্ষতি

হেডফোনে গান শোনা কানের ক্ষতি

আজকের দিনে মোবাইল ফোন কেবল ফোন করার কাজে ব্যবহৃত হয় না। অনেকেই মোবাইল ব্যবহার করেন গান শোনার জন্য। সাধারণত ইয়ারফোন বা ইয়ারবাডের এক প্রান্ত ফোনে লাগিয়ে অন্য দুটি প্রান্ত কানে গুঁজে গান শোনাই রীতি। কিন্তু এভাবে গান শুনলে কানের কি ক্ষতি হয় কোনও?

Loading...

 

অডিওলজিস্টরা বলছেন, আমাদের কানের সহ্যমাত্রা ৮৫ ডেসিবেল। অর্থাৎ মোটামুটি হেয়ার ড্রায়ার বা মিক্সার গ্রাইন্ডার চলার শব্দ যতখানি তার চেয়ে বেশি জোরে শব্দ একটানা বেশিক্ষণ শুনলে ক্ষতি হয় কানের। পুরোনো আমলের হেডফোন (অর্থাৎ যেগুলি পুরো কানটিকে ঢেকে রাখে)-এর তুলনায় ইয়ারফোন বা ইয়ারবাডের শব্দমাত্রা মোটামুটি ৭-৯ ডেসিবেল বেশি হয়। এতে ক্ষতির আশঙ্কাও বাড়ে। ১১০-১২০ ডেসিবেল শব্দমাত্রায় ঘন্টাখানেক গান শুনলে শ্রবণশক্তি চিরতরে লোপ পেতে পারে।

 

অডিওলজিস্টরা বলছেন, ইয়ারবাডে গান শোনার ক্ষেত্রে ৬০/৬০ নীতি মেনে চলা ‌উচিৎ। অর্থাৎ একটানা ৬০ মিনিট বা এক ঘন্টার বেশি গান না শোনা, এবং মোবাইলের সর্বোচ্চ শব্দমাত্রার ৬০ শতাংশের বেশি ভল্যুম না বাড়ানো— এই দুটো নীতি মেনে চললেই সুরক্ষিত থাকবে কান।

ফেসবুক কমেন্ট

comments

About সাদিয়া প্রভা

সাদিয়া প্রভা , ইন্ডিয়ার Apex Group of Institutions এর BBA এর ছাত্রী ছিলাম। বর্তমানে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য বিয়সক তথ্য নিয়ে লেখালেখি করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.