...

স্বামীর সামনে আমি নগ্ন হতে ভয় পেতাম!

শৈশব থেকেই বেশ নাদুসনুদুস ছিল ব্রিটানি ফুলফার(৩২)। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে পরিবারের কোনো এক সদস্যের যৌন আগ্রাসনের শিকার হন।

 

স্বামীর সামনে আমি নগ্ন হতে ভয় পেতাম!

তারপর থেকেই খাবারের দিক ঝোাঁক তৈরি হয় তার। ধীরে ধীরে তার ওজন অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেতে থাকে। ব্রিটানি যখন বিয়ে করেন তখন তার ওজন ছিল ১৭৭ কেজি। এরপর তার ওজন বৃদ্ধি পেয়ে ২৭৬ কেজিতে উন্নীত হয়। বিয়ের পর আর স্বামীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক হয়নি, কেননা অস্বাভাবিক মোটা হওয়ার কারনে তিনি স্বামীর সামনে নগ্ন হতে ভয় পেতেন। এ ব্যাপারে ব্রিটানির বক্তব্য হচ্ছে, অধিকাংশ সময় আমার স্বামী আমাকে নগ্ন অবস্থায় দেখতে পেত না। স্বামীর সামনে আমি নগ্ন হতে ভয় পেতাম, আমি খুব ভীত ছিলাম এই ভেবে যে, তিনি যদি আমাকে দেখার পর বিরক্ত হন, আমাকে ঘৃণা করেন। আর যদি ভালোভাবে আমার দিকে না তাকায়। তাই আমি নিজেকে লুকিয়ে রাখতাম। ব্রিটানির সবচেয়ে বেশি কষ্ট হতো গোসলের সময়। এইসময় তার মনে হতো সে তীব্র দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।

Loading...
পড়ুন  স্বামী কে বশে আনার উপায় (শুধু মাত্র আপুদের জন্য। ভাইয়া দের প্রবেশ নিষেধ)

 

১৯ বছর বয়সে গলার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়। তার জীবন বাঁচানোর জন্য গ্যাস্ট্রিক বাইপাস সার্জারি করতে হয়েছিল। ব্রিটানিকে সারাদিন বসে থাকতে হতো। শুধুমাত্র খাবার আনার সময় সে নড়চড়া করতো। ব্রিটানি বলেন, আমি ঘুমানোর আগ পর্যন্ত সারাদিন খেতেই থাকতাম। আমি জানতাম এটা স্বাভাবিক না। তবু খাবারের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছুই মনে হতো না। একজন মানুষের শরীর আমার মতো কখনোই হওয়া উচিত না। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বিরক্তিকর ব্যাপার। আমি এতই মোটা যে, নিজের যত্ন নিজে নিতে পারি না। চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পর ব্রিটানি ১২ মাসে ৯৮ কেজির মতো ওজন কমাতে সক্ষম হয়। ওজন কমার ফলে সে বৈবাহিক সম্পর্ক রক্ষা করতে সক্ষম হয়। সর্বোপরি তার জীবনটাও বেঁচে যায়। এখন সে স্বামী বিলের সঙ্গে ডেটিং এ যায় এবং প্রথম বারের মতো যৌন সম্পর্ক করতে সক্ষম হয়। ব্রিটানি বলেন, আমরা এখন খুব ঘনিষ্ঠ। এখন আমরা শুধু একই ঘরের বাসিন্দা না, আমরা এখন নব দম্পতির মতো।

ফেসবুক কমেন্ট

comments

About সাদিয়া প্রভা

সাদিয়া প্রভা , ইন্ডিয়ার Apex Group of Institutions এর BBA এর ছাত্রী ছিলাম। বর্তমানে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য বিয়সক তথ্য নিয়ে লেখালেখি করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.