...

নিজের চাকরি কে ভালবাসার উপায়

 নিজের চাকরি কে ভালবাসার উপায়

আপনি কি আপনার চাকরি কে ভালবাসেন? আপনার উত্তর যদি হয় ‘না’ তাহলে আপনার বন্ধুর সংখ্যা কিন্তু নেহায়েত কম নয়। এমন প্রচুর চাকরি জীবী আছেন যারা তাদের চাকরি করতে অনুৎসাহী, হতাশায় ভোগেন এবং অপছন্দ করেন তাদের পেশাকে। অথচ এই চাকরিটিই হতে পারে আনন্দদায়ক, স্বস্তিদায়ক শুধু আপনি যদি একে ভিন্নভাবে গ্রহণ করেন। আসুন জেনে নিই, অপছন্দের এই চাকরি কীভাবে আপনাকে আনন্দ দিতে পারে।

চাকরি

চ্যালেঞ্জ
আপনার কাজটি কি আপনার খুবই একঘেয়ে লাগে? মানুষ সাধারণত একঘেয়ে, অলস সময়ে হাঁপিয়ে ওঠে। প্রকৃতিগত ভাবে আমরা পরিশ্রমী জীব। আপনি একজন শিশুকে খেয়াল করুন। কোন কাজ ছাড়া সে কিন্তু বিমর্ষ বোধ করবে। আপনি যদি শিশুটিকে ছবি আঁকতে দেন বা মজার কোন কাজ করতে দেন দেখবেন শিশুটি খুশী মনে সেই কাজ করছে। আপনার চাকরির চ্যালেঞ্জগুলো খুঁজে বের করুন। যেই কাজটি করছেন তার নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করুন। কিছু করার চেষ্টা করুন যা আর কেউ করছে না।

ভিন্নতা তৈরি করুন
যেসব মানুষ মনে করে চাকরি ক্ষেত্রে তারা কোন পার্থক্য তৈরি করতে পারছেন, তারা তুলনামূলক বেশী পছন্দ করেন নিজের পেশাকে। আপনার চাকরি র ক্ষেত্রটিও আপনাকে ভিন্নতা তৈরির স্বাদ দিতে পারে। অর্থাৎ, ধরুন, আপনি কোন এনজিওতে চাকরি করছেন। গ্রামের মানুষের মাঝে কাজ করতে গিয়ে, তাদের জন্য কিছু করতে পেরে আপনার মধ্যে ভাল লাগা তৈরি হবে। আপনি যদি পেশায় সাংবাদিক হন, একটা ভাল, ভিন্ন ধারার, চমকপ্রদ খবর আপনাকে আনন্দ দেবে। একই সাথে অনেকের উপকারেও আসবে। আপনি যে পেশারই হন না কেন ভিন্নতা তৈরির সুযোগ কিন্তু আছে। খুঁজে নিতে হবে শুধু।

পড়ুন  সকালে ঝলমলে চুল পেতে

সহজাত প্রতিভা
আপনি কি চাকরি ক্ষেত্রে নিজের প্রতিভা ব্যবহার করতে পারছেন না বলে বোধ করেন? অথবা আপনার সামর্থ্যের চেয়েও বেশী বেশী শ্রম দিচ্ছেন, বেশী কাজ করছেন? দুটোই আপনাকে হতাশ করতে পারে। আমরা নিজের প্রতিভাকে ব্যবহার করে, দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে বেঁচে থাকতে পছন্দ করি। নিজেকে অকর্মণ্য বোধ করলে সবচেয়ে বেশী হতাশ হই। এটাই মানুষের স্বাভাবিক সহজাত প্রবৃত্তি। নিজেই বসে ভাবুন, আপনার কি কি দক্ষতা আছে, কিভাবে আপনি আপনার মেধাকে কাজে লাগাতে পারেন ইত্যাদি। অকর্মণ্য আমরা কেউই নই। শুধু নিজেকে খুঁজে নিন।

Loading...

প্রাপ্তির আনন্দ
যখন আমরা স্কুলে পড়তাম তখন প্রায়ই ক্লাস টেস্ট হত। অর্ধবার্ষিকি, বার্ষিকি কত রকমের পরীক্ষাই না দিতে হত। এর একটা সুবিধা ছিল। আমরা নিজের অগ্রগতি, টার্গেট, কতটা পারলাম, কতটা পারলাম না তা জেনে যেতাম সাথে সাথেই। কাজের ক্ষেত্রেও এটা করতে পারি আমরা। আপনার অফিসকে আপনি হয়ত খুবই বিরক্তিকর ভাবছেন, বসের ধমকগুলো নিতে পারছেন না। কিন্তু আপনি নিজে কতটা পরিশ্রম করছেন, আপনার কোম্পানির জন্য কাজ করছেন সেটা খেয়াল করেছেন কি? নিজের কাজের মূল্যায়ণ করুন নিরপেক্ষভাবে। যখন আপনি প্রতিনিয়ত মূল্যায়নের মাধ্যমে নিজেকে তুলে ধরতে পারবেন, আরও দক্ষ হয়ে উঠবেন তখন সেই প্রাপ্তির আনন্দও হবে অসাধারণ। অনেক অফিসে অবশ্য এই ব্যবস্থা থাকে এখন। মাস শেষে কাজের মূল্যায়ণ হয়। সেই মূল্যায়ণ হতে পারে পুরষ্কার স্বরূপ। সেভাবেই গড়ে তুলুন নিজেকে।

পড়ুন  ছোলার খাদ্য গুণ

অবদান স্বীকার করুন
আপনার জীবনযাপনে আপনার চাকরির অবদান স্বীকার করুন। মাস শেষে চাকরির বেতন আপনাকে একটি স্থির জীবনচর্চায় সাহায্য করে। চাকরি আপনাকে একটি সামাজিক মর্যাদা দেয়। একটা শিক্ষিত, মার্জিত পরিবেশ দেয়। বেকারত্বের হতাশা থেকে দূরে রাখে। তাই কোন কাজই ছোট নয়। সব কাজেই নিজেকে প্রমাণের সুযোগ আছে। সেই সুযোগ গ্রহণ করুন। অনেক এগিয়ে যেতে পারবেন। হয়ত আপনার হাত ধরে আপনার প্রতিষ্ঠানও এগিয়ে যাবে। কাজকে ইতিবাচক চোখে দেখুন। কোয়ান্টাম মেথডে একটা কথা আছে, ‘দৃষ্টিভঙ্গি বদলান, জীবন বদলে যাবে।’ সত্যিই কি তাই নয়?

কাজের সাথে সম্পর্ক গড়ে নিন। নিজের স্বপ্নগুলোকে যুক্ত করে ফেলুন এর সাথে। আপনি হয়ত ভিন্ন ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গড়তে চেয়েছিলেন। আগে যে অবস্থানে আছেন সেখানেই নিজেকে প্রমাণ করুন। আপনার সেই ভিন্ন জগতেও আপনি সফল হবেন। চাকরিটাকে নাহয় একটা পাঠশালাই ভাবুন! নিজেকে প্রস্তুত করবার ক্ষেত্র ভাবুন। যা ই করুন, আত্মবিশ্বাস নিয়ে করুন। ভালবাসা নিয়ে করুন

ফেসবুক কমেন্ট

comments

About Deb Mondal