...

এক্ষুণি বন্ধ করুন কটন বাড ব্যবহার

এক্ষুণি বন্ধ করুন কটন বাড ব্যবহার

কটন বাড আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বহুল ব্যবহৃত জিনিসগুলোর ভেতরে একটি। প্রতি সপ্তাহে হয়তো আপনারও দরকার পড়ে কটন বাডের। ব্যাগের ভেতরে সবসময় নিশ্চয়ই আরো দশটা জরুরী বস্তুর সাথে জায়গা রাখেন কটন বাডের একটি প্যাকেটের জন্যেও। তাহলে আপনাকেই বলছি- ভুলেও আর কটন বাড ব্যবহার করবেন না! বরং, যতটা সম্ভব এর ব্যবহার থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।

কটন বাড

Loading...

 

বন্ধ করুন কটন বাড ব্যবহার

ভাবছেন এমন একটা প্রয়োজনীয় জিনিস ব্যবহার না করতে বলার কারণটা কি? হ্যাঁ, কারণ আছে। যথেষ্টই কারণ আছে। আপনি হয়তো এটা জানেন যে কটন বাড আমাদের কানের ময়লা পরিষ্কারে কতটা উপকারী। কিন্তু এটা কি জানেন যে এই এক কটন বাডের ব্যবহারেই প্রতি বছর পৃথিবীতে প্রায় ৭,০০০ মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে (টেলিগ্রাফ)?
খুব সাদাসিধে আর নরম দেখতে হলেও বাস্তবে শেভিং রেজরের ধারালো ব্লেডের চাইতেও অনেক বেশি ক্ষতি করে থাকে কটন বাড আমাদের কানের। সম্প্রতি চালানো একটি গবেষণা থেকে জানতে পারা যায় যে, কটন বাড ব্যবহারকারীদের ভেতরে প্রায় ৩৬ শতাংশ এর অপকারিতা সম্পর্কে জানেন। আর তারপরেও সেটা ব্যবহার করেন তারা। এদের প্রতি ছয়জনের ভেতরে একজন প্রায়ই আঘাত পেয়ে থাকেন কটন বাডের কারণে। সেখান থেকে তৈরি হয় চামড়ার নানা সমস্যা ও ব্যথা। এছাড়াও কান চুলকানোর সময় কানের ভেতরে তুলো ঢুকে যাওয়াটা তো খুব স্বাভাবিক ব্যাপার!
মনে মনে চিন্তা করছেন তাহলে তো খুব বেশি সমস্যা তৈরি করে না কটন বাড। খানিকটা চুলকানি বা ব্যথা- ও তো গা সওয়া! কিন্তু আদতে কেবল এইটুকু ক্ষতিই নয়, কটন বাড আপনার কানের নরম পর্দার ক্ষতি করে কানে শোনার ব্যাপারটাও পাকাপাকিভাবে বন্ধ করে দিতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের কথানুসারে, কানের ভেতরে তৈরি হওয়া আঠালো পদার্থ এমনিতে আমাদের পক্ষে বেশ ভালো। বাইরের সংক্রমণ থেকে শুরু করে আরো নানাভাবে এটি সাহায্য করে আমাদের। তবে সেটা অল্প পরিমাণের ক্ষেত্রে। পরিমাণ বেড়ে গেলে এক্ষেত্রে গরম পানির সাহায্য নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
এছাড়াও কানের ভেতরে তৈরি আঠালো পদার্থ বের করে নেওয়ার সময় কটন বাড ব্যবহারে খুব অভিজ্ঞরাও কয়েকটি ভুল করে ফেলেন। যতটা না ময়লা বের হয় তারচাইতে অনেকটা বেশি কানের ভেতরে রয়ে যায়। এছাড়াও এতে করে কানের চুলকানি ও অস্বস্তির পরিমাণ বেশ খানিকটা বেড়ে যায়। খানিকটা তুলোও মাঝে-সাঝে থেকে যায় কানের ভেতরে।
কটন বাড কানের এয়ারড্রামকে আঘাত করে ফেললে তা থেকে রক্তপাত, ব্যথা ও নানারকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেই সাথে কানের ভেতরে থাকা নরম অস্থিগুলোর গায়ে আঘাত লাগলে সেগুলো থেকেও ভবিষ্যতে কানে না শোনার মতন জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সব মানুষেরই কটন বাড ব্যবহারের দরকার নেই (ফক্স নিউজ)। নেই কান পরিষ্কারের দরকারও। কারণ, আমাদের সবার কানে এতটা আঠালো পদার্থ জন্মায় না। আর যদি কান পরিষ্কারই করতে হয় তাহলে খনিজ, সমুদ্রের পানি আর সামান্য কিছু উপাদানের মাধ্যমে তৈরি স্প্রের সাহায্য নিতে পারেন। এটি কোনরকম ক্ষতি ছাড়াই অনেক সহজে পরিষ্কার করে দেবে আপনার কান।

ফেসবুক কমেন্ট

comments

About Deb Mondal

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.