...

নারীর যৌনাঙ্গ বিষয়ক মূল্যবান তথ্য

নারীর যৌনাঙ্গ
নারীর যৌনাঙ্গ বিষয়ক মূল্যবান তথ্য

নারীকে পুরুষের চাইতে আরো যে বিষটি স্বতস্ফূর্তভাবে পৃথক করেছে ,তা হলো নারীর যৌনাঙ্গ ,তথা যোনি । পুরুষের লিঙ্গ বহিঃমুখী অথচ নারীর যৌন লিঙ্গ নেই , তবে নারীর যৌনাঙ্গ হিসেবে রয়েছে যোনি । এই যোনির মাধ্যমেই নারী পুরুষের সাথে যৌন মিলনে মিশে যায়। যোনি যৌন উত্তেজনার সময় পিচ্ছিল হয়ে উঠে। কেননা যৌন উত্তেজনার সময় নারীর যৌনাঙ্গ থেকে তরলের রণ হতে থাকে । নারীর যৌন স্বাভাবিক আকারে ৯ সেঃমিঃ প্রায় সাড়ে তিন ইঞ্চি। তবে এটি বিভিন্ন সময়ে পরিবর্তিত হয় যেমন যৌনমিলনের সময় , সন্তান জন্মের সময় এমনকি হস্তমৈথুনের বা স্বমেহনের সময়।নারীর যৌনাঙ্গের সাথে সম্পর্কযুক্ত একই মাত্রার অঙ্গ হলো সারবিঙ । নারীর যৌনাঙ্গে অথ্যাৎ যোনিতে প্রায় ত্রিশ রকমের কৌশিক কলা রয়েছে । এগুলো গভীর এবং যৌনমিলনের সময় লিঙ্গের চাপ এটি সহ্য করে নিতে পারে । নারীর যৌনাঙ্গ থেকে সাধারণত ল্যাকটিক এসিড নি:স্বরিত হয়। একে যৌনরস বা মিউকাস বলা হয় । এটি যৌন উদ্দিপক এক প্রকার তরল । নারীর যৌন উত্তেজনার চূড়ান্ত পর্যায়ে এই তরল নারীর যৌনাঙ্গ বেয়ে বাইরে চলে আসতে পারে। নারীর অপরাপর আভ্যন্তরীণ যৌনাঙ্গগুলো হলো , জরায়ু , পেলভিস, ওভারি ইত্যাদি। জরায়ু বা ইউটেরাস নারীর যৌন জীবনের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় । একই সাথে এটি গুরুত্বপূর্ণ ও বটে । নারীর যৌন জীবনের ততোথিক গুরুত্বপূর্ণ যৌনাঙ্গ হলো ওভারি বা ডিম্বাসয় । যৌনমিলনের পরে পুরুষের লিঙ্গ নিঃসৃত বীর্য নারীর ওভারিতে ডিম্বাশয়ে জমা হয় এবং তার পরে এটি ফ্যালোপিয়ান টিউব বেয়ে উপরিস্থিতি অংশ হলো ওভিডাক্ট। এটি ফ্যালোপিয়ান টিউবের সাথে সম্পর্কযুক্ত একটি অঙ্গ । মোটা মুটি এই হচ্ছে নারীর অভ্যন্তরীণ যৌনাঙ্গ । যার দ্বারা নারীর যৌন জীবন পূর্ণাঙ্গ হয়।
নারীর বহিঃ যৌনাঙ্গ

Loading...
পড়ুন  নারী যৌনাঙ্গের আকার – কেমন হওয়া উচিত?

অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গের বাইরে পুরুষের চেয়ে নারীর স্বতন্ত্র কিছু যৌনাঙ্গ রয়েছে । প্রথমত এটি হচ্ছে স্তন বা ব্রেস্ট । নারীর স্তন যুগল একই সাথে নারীরত্বকে ফুটিয়ে তোলার পাশাপাশি এটি যৌন জীবনে এবং মাতৃত্বকালীন সময়ে বিশেষ ভূমিকা রাখে। নারীর নারীত্ব পূর্ণ মাত্রায় ফুটে উঠে তার স্তনের বিকাশের সাথে সাথে । পুরুষের নারীর মতো স্তন  breast নেই তবে স্তনের স্পর্শে পুরুষও আবেদিত বা উত্তেজিত হয়। যৌন জীবনের প্রধান ভূমিকা রাখে নারীর স্তন। স্তনের স্পর্শের দ্বারা নারী সবচেয়ে মৌলিক এবং চূড়ান্ত যৌন উত্তেজনার পর্যায়ে পৌঁছে যায়। নারীর বহিঃ যৌনাঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে আবেদনশীল যৌনাঙ্গ হলো তার কিটোরিস। এটি নারীর বাইরের যৌনাঙ্গ। কিটোরিসকে বাংলাতে ভগাংকুর বলা হয় । বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গেছে যে ভগাংকুরের দৈঘ্য এবং প্রস্থ সব নারীর একই সমান নাও হতে পারে তবে সব নারীর ক্ষেত্রেই ভগাংকুরের স্পর্শের আনন্দ অপরিসীম । কিটোরিস এর মাথা নরম চামড়ার দ্বারা বা ত্বকের আবৃত থাকে। একে কিটোরাল হুড বা ভগাংকুরের আবৃত মাথা বলা যেতে পারে । এই মাথাকে আস্তে সরিয়ে নিলেই লালচে কিংবা সাদাটা যে নরম মাংসের ছোট পিন্ড দেখা যাবে সেটি হলো কিটোরিস নারী এখানে স্পর্শে আনন্দ অনুভব করে । এই আনন্দ চরমপুলকের মতো আনন্দ দিতে পারে । কোনো কোনো নারীকে দেখা যায় যে তারা যৌনমিলনের আনন্দের চাইতে ভগাংকুরের বা কিটোরিসের স্পর্শে আনন্দ উপভোগ করে বেশি এবং জীবনব্যাপী তারা যৌন আনন্দ এর মাঝে খুজে পায় । কিটোরিসে যদি নিজ হাতে স্পর্শ করে শারীরিক আনন্দ পাওয়া যায় তবে তাকে স্বমেহন বলা যেতে পারে । কিন্তু বা স্বামির যৌন সঙ্গীর স্পর্শে উক্ত শারীরিক আনন্দ পেলে তাকে আউটার কোর্স বা বাইরের যৌনতা বলা হয় । কিটোরিসের পরে নারীর বহিঃযৌনাঙ্গের মধ্যে যৌনির মুখ এবং যৌনির ঠোঁটের ব্যাপারটি চলে আসে । নারীর যোনির অর্থাৎ যৌনমিলনের প্রধান অঙ্গের উপরিভাগে দুটো ঠোঁট থাকে । এর একটির নাম ল্যাবিয়া ম্যাজোরা এবং অন্যটির নাম ল্যাবিয়া ম্যানোরা । ল্যাবিয়া ম্যাজোরা হলো অপোকৃত বড় ঠোঁটটির নাম এবং ল্যাবিয়া ম্যানোরা হলো অপোকৃত ছোট ঠোঁটটির নাম। যৌন উত্তেজনার সময় যোনির এই দুটি ঠোঁট এমনিতেই একটু ফাঁক হয়ে যায় বা সরে যায় । কিটোরিসের নিচে মূত্র নালীর একটি জায়গা আছে । এখান দিয়ে নারীর মূত্র ত্যাগ করতে হয় । মোটা মুটি নারীর বহিঃযৌনাঙ্গের ধারণা হলো এমন । নারীর এই বহিঃযৌনাঙ্গের পুরো অঞ্চলটিকে বলা হয় ভাবলা এই অঞ্চলে প্রচুর যৌন কেশ বা যৌন লোমের বিকাশ

পড়ুন  নারীর গোপনাঙ্গে মুখ দেওয়া নিয়ে ইসলাম যা বলে জেনে নিন

নারী ও পুরুষের যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত কিছু তথ্য

 

আপনার ডক্টর হেল্থ সাইটে কোন প্রকার অশ্লীল আর্টিকেল দেওয়া হয় না। মূলত যৌন জীবনকে সুস্থ্য, সুন্দর ও সুখময় করে তোলার জন্য জানা অজানা অনেক কিছু তুলে ধরা হয়।এরপরও আপনাদের কোর প্রকার অভিযোগ থাকলে Contact Us মেনুতে আপনার অভিযোগ জানাতে পারেন, আমরা আপনাদের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করব। ধণ্যবাদ আপনার ডক্টর হেল্থ সাইটের সাথে থাকার জন্য।

ফেসবুক কমেন্ট

comments

About সাদিয়া প্রভা

সাদিয়া প্রভা , ইন্ডিয়ার Apex Group of Institutions এর BBA এর ছাত্রী ছিলাম। বর্তমানে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য বিয়সক তথ্য নিয়ে লেখালেখি করি।

One comment

  1. রোগা থেকে মোটা হওয়া যায় কিভাবে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.