...

চিংড়ি খেয়ে নানা রোগ প্রতিরোধ

যদিও চিংড়ি মাছ নয়, একটি পোকা, তবুও আমরা একে চিংড়ি মাছ হিসেবেই চিনে থাকি। যারা মাছ খেতে পছন্দ করেন না তারাও চিংড়ি মাছ বেশ মজা করেই খেয়ে থাকেন। সকলের কাছেই চিংড়ির তৈরি খাবার অনেক পছন্দের।চিংড়ি

চিংড়ি খেয়ে নানা রোগ প্রতিরোধ

কিন্তু আপনি জানেন কি শুধু স্বাদই নয় চিংড়ির রয়েছে অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকারিতা।চিংড়ি মাছ খাওয়ার অভ্যাস প্রায় ১০ ধরণের শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। এবং মারাত্মক কিছু রোগ থেকেও মুক্তি দিয়ে থাকে। তবে যাদের চিংড়ি মাছে অ্যালার্জি রয়েছে তারা এর থেকে দূরে থাকুন।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
চিংড়ি মাছে প্রায় ৫৭% সেলেনিয়াম থাকে। মাত্র ১০০ গ্রাম চিংড়িমাছ থেকে অনেকটা সেলেনিয়াম পাওয়া সম্ভব। ইন্সটিটিউট বফ ফুড রিসার্চের গবেষকদের মতে এই সেলেনিয়াম দেহে ক্যান্সারের কোষ গঠনে বাঁধা প্রদান করে থাকে। এই চিংড়িমাছের সেলেনিয়ামের সঙ্গে ব্রকলি, পাতাকপি, ফুলকপির সালফোরাফেইনের মিশ্রণ এই প্রতিরোধ আরও বাড়িয়ে তোলে।

রক্তস্বল্পতা দূর করে
চিংড়িমাছ আমাদের দেহের ভিটামিন বি১২ এর চাহিদা প্রায় ২৫% দূর করে। এবং দেহের রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা অর্থাৎ রক্তের লাল কণিকা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে করে রক্তস্বল্পতা দূর হয়।

পড়ুন  মাত্র তিন দিনে ১০ পাউন্ড ওজন কমাতে চান?

হাড়ের ক্ষয় রোধ করে
চিংড়ি মাছের মধ্যে রয়েছে প্রায় ১৪% ফসফরাস। চিংড়িমাছ খাওয়ার অভ্যাস দেহের ফসসরাসের চাহিদা পূরণ করে যা হাড়ের ক্ষয় রোধ করে ও হাড়কে মজবুত করতে বিশেষভাবে কাজ করে।

Loading...

শারীরিক দুর্বলতা কাটায়
অনেকেই নানা সময় শারীরিক দুর্বলতায় ভুগে থাকেন যার পেছনে দেহে আয়রনের ঘাটতি দায়ী থাকে। চিংড়িমাছ আমাদের দেহের ১৭% আয়রনের চাহিদা পূরণ করে এবং এনার্জি সরবরাহ করে। এতে করে শারীরিক দুর্বলতা কেটে যায়।

ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে
আমাদের মুটিয়ে যাওয়ার প্রথম ও প্রধান কারণ দেহে ফ্যাট জমা। চিংড়ি মাছের মধ্যে রয়েছে প্রায় ১৩% নিয়াসিন যা ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিনকে এনার্জিতে পরিবর্তন করে এবং দেহে ফ্যাট জমতে বাধা দেয়।

বিষণ্ণতা দূর করে
মাত্র ১০০ গ্রাম চিংড়ি মাছে রয়েছে প্রায় ৩৪৭ মিলিগ্রাম ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। গবেষকদের মতে এই ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কে সেরেটেনিন উৎপন্ন করে যা বিষণ্ণতা দূর করতে বিশেষভাবে সহায়ক।

থাইরয়েডের সমস্যা দূর করে
চিংড়িমাছের প্রায় ১০% কপার আমাদের থাইরয়েড গ্রন্থির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা ঠিক রাখতে সহায়তা করে।

পড়ুন  যে মাছ খেলে নেশা হয়!

মূত্রথলির নানা সমস্যা থেকে রক্ষা
গবেষণায় দেখা যায় জিংক মূত্রথলি সংক্রান্ত নানা রোগ ও ইনফেকশন থেকে আমাদের রক্ষা করতে পারে। এমনকি মুত্রথলির ক্যান্সারের হাত থেকেও রক্ষা করে। চিংড়ি মাছের ১০০ গ্রামে পাওয়া যায় ১০-১৫ মিলিগ্রাম জিংক যা আমাদের মূত্রথলির সুস্থতা নিশ্চিত করে।

ডায়বেটিসের হাত থেকে রক্ষা করে
চিংড়িতে রয়েছে ৮% ম্যাগনেসিয়াম। গবেষণায় দেখা যায় ম্যাগনেসিয়াম দেহকে টাইপ ২ ডায়বেটিসের হাত থেকে রক্ষা করে। এবং রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

ত্বক, চুল ও নখের সুরক্ষা করে
চিংড়িমাছ আমাদের দেহের প্রায় ৪২% পর্যন্ত প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে থাকে। যা আমাদের ত্বক, চুল এবং নখের সুরক্ষায় কাজ করে। এবং এই প্রোটিনের চাহিদা পূরণ না হলে দামী ব্যান্ডের কোনো প্রোডাক্টের মাধ্যমেই ত্বক, চুল ও নখের সুরক্ষা সম্ভব নয়।

ফেসবুক কমেন্ট

comments

About Deb Mondal

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.