...

ফল খাওয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় কখন?

ফলে প্রচুর পুষ্টি উপাদান থাকে যা আমাদের রোগমুক্ত থাকতে সাহায্য করে। ফল খেলে হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং হাইপারটেনশন হওয়ার ঝুঁকিও কমে। আমরা অনেকেই মনে করি ফল খাওয়া মানেই ফল কেনো, কাটো এবং মুখে পুরে দাও। কিন্তু এটা আসলে ফল খাওয়ার সঠিক উপায় নয়। কারণ ফল এর উপকারিতা পাওয়ার জন্য ফল খেতে হবে সঠিক সময়ে। হ্যাঁ, ফল খাওয়ারও নির্ধারিত সময় আছে যা অনেকেই জানেন না। সে বিষয়ে জেনে নিই চলুন।

ফল

ফল খাওয়ার সবচেয়ে ভালো সময় :

১। সকালে খালি পেটে

আপনি নিশ্চয়ই খুব অবাক হচ্ছেন এটি শুনে? ফল সকালে খালিপেটে বা খাওয়ার মাঝখানে খেতে হয়। কারণ এই সময়ে হজম মোটামুটি দ্রুত হয় এবং বিভিন্ন ধরণের এনজাইম ব্যবহৃত হয় ফল হজমের জন্য। ফলে চিনি থাকে যা শরীর দ্বারা শোষিত হতে সময় লাগে। খাওয়ার মাঝখানে বা খালি পেটে যখন ফল খাওয়া হয় তখন ফলের পুষ্টি উপাদান যেমন- ফাইবার ও চিনি শরীরে ভালোভাবে প্রসেসড হয়। তাই এই সময়ে ফল খেলেই আপনি উপকৃত হতে পারবেন।

২। প্রি অথবা পোস্ট ওয়ার্কআউট

পড়ুন  পেট খারাপ দূর করার ঘরোয়া উপায় জেনে নিন

ফল খাওয়ার আরকটি শ্রেষ্ঠ সময় হচ্ছে ওয়ার্কআউট এর আগে অথবা পরে। ব্যায়াম করার আগে অথবা ব্যায়াম করার পর পরই আপনি ফল খেতে পারেন। ওয়ার্কআউটের পূর্বে ফল খেলে ফলের চিনি আপনাকে দ্রুত এনার্জি পেতে সাহায্য করবে এবং ওয়ার্কআউটের পরে শরীরের নিঃশেষিত শক্তি পুনরায় সঞ্চিত হতে সাহায্য করবে।

Loading...

ফল খাওয়ার সবচেয়ে খারাপ সময় :

১। ঘুমাতে যাওয়ার আগে

ঠিক ঘুমুতে যাওয়ার আগেই ফল খাওয়া মোটেই ভালো নয়। কারণ এতে রক্তের চিনির মাত্রা ও ইনসুলিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং ঘুমাতেও সমস্যা হয়। তাই সন্ধায় ফল খাওয়া এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।

২। ওজন কমানোর সময়

যাদের ওজন কমানো বেশ কঠিন তাদের দুপুরের খাবারের পরে ফল না খাওয়া উচিৎ। এর ফলে শরীরে ক্যালরির ঘাটতি দেখা দিবে এবং শরীরে সঞ্চিত চর্বি এনার্জি সৃষ্টিতে কাজে লাগবে। আপনি যখন ওজন কমানোর একটি সীমার মধ্যে পৌঁছে যাবেন তখন আর ফল এড়িয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।

ফল খাওয়ার সাধারণ নির্দেশিকা :

১। শুধু ফল

কোন খাবারের সাথে ফল মিশিয়ে খাওয়ার চেয়ে একবারে বেশি ফল খাওয়া ভালো। দৈনিক দুই থেকে আড়াই কাপ ফল খাওয়া উচিৎ। ফ্রুট সালাদ বা ২ টি আপেল খেতে পারেন। ফল খাওয়ার ১-২ ঘন্টা পর্যন্ত পেট ভরা থাকে। এই সময়ে ফল ভালোভাবে হজম হয় এবং শোষিত হয়।

পড়ুন  স্টিকার মারা ফলফলাদি কেনেন, এর ফলাফল কি জানেন?

২। ফ্রুট স্মুদি

ফল খাওয়ার পাশাপাশি ফলের স্মুদি ও পান করতে পারেন। ফলের সাথে নারিকেলের দুধ বা বাদামের দুধ মেশাতে পারেন। তবে কম পরিমাণে হতে হবে। বাদাম থেকে তৈরি মাখন, বাদাম দুধ, ননী মুক্ত দুধ যেমন- সয়া থেকে তৈরি দই, এগুলোর সাথে ফল খেতে পারেন। এগুলো পরিপাক তন্ত্রের উপর তেমন চাপ ফেলবে না। তবে সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে কাঁচা ও তাজা ফল খাওয়া।

লিখেছেন –

সাবেরা খাতুন

ফেসবুক কমেন্ট

comments

About সাদিয়া প্রভা

সাদিয়া প্রভা , ইন্ডিয়ার Apex Group of Institutions এর BBA এর ছাত্রী ছিলাম। বর্তমানে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য বিয়সক তথ্য নিয়ে লেখালেখি করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.