...

ফোন দিলেই waiting, জানতে পারলাম ৩-৪ জনের সাথে….

প্রতিদিনই আপনার ডক্টর অনলাইন বাংলা স্বাস্থ্য টিপস পোর্টালের ফেসবুক ফ্যানপেজে অনেক ম্যাসেজ আসে। সব ম্যাসেজর উত্তর দেওয়া সম্ভব হয় না।তাই পাঠকদের কাছে প্রশ্নটির বিস্তারিত তুলে ধরা হয় (প্রশ্নকারীর নাম ও ঠিকানা গোপন রেখে) আজকের প্রশ্নঃএকটু পরে আবার ফোন দেই দেখি waiting। তখন ত আর ভাল লাগেনা। কি করব waiting ত waiting আমি যে তাকে ফোন করছি তার কোন খোজখবর ই নাই, এদিক দিয়ে ত আমার মনে ঝর বয়ে যাচ্ছে।

ফোন

ফোন দিলেই waiting, জানতে পারলাম ৩-৪ জনের সাথে

ভালবাসা হচ্ছে এক ধরনের এডিকশন। ছবিতে আমার কান্নাভেজা চোখ দেখলে সহজেই আপনারা তা বুঝতে পারবেন। লেখাটা বড় হয়েছে জানি।তারপরেও দয়া করে পুরো লেখাটি পড়বেনlআমি শুভ,সবে মাত্র Diploma engineering of electrical শেষ করলাম, পড়াশুনা করেছি ঢাকার বেসরকারি একটা পলিটেকনিকে, এখন চাকরি করি।যখন আমি ৬ পর্ব পড়ি তখন ফেসবুকে একটি মেয়ের সাথে পরিচয় হয়। তাকে আমি আগে ফ্রেন্ড রিকয়েস্ট পাঠাই, আগে তার প্রফাইলে দেখি সে আমাদের কলেজে ই পড়ে কম্পিউটার ডিপার্টমেন্ট এ। প্রথমে এমনিতেই কথা ( chat) বলতাম। মেয়েটির নাম হাফসা শারমিন। তাকে আমি পাখি বলে ডাকতাম। একদিন পাখি কে ask করলাম তোমার কেমন ছেলে পছন্দ,
পাখি:- আমার কোন পছন্দ নাই
– তাহলে কেমন স্বামী
পাখি:- আমার পছন্দ দারি ওয়ালা।
– তুমি কি আগে মাদ্রাসায় পড়াশুনা করতে?।
পাখি:- hm
-……….
পাখি :- কি হল কথা বলনা কেন
-hm ,এখন থেতে আমিও দারি রাখব
পাখি :-valo
চ্যাট করার একদিন পর পাখির বান্দবী নাহার আমাকে ফোন দিয়ে বলতেছে মিষ্ট খাওয়াইতে হবে, হঠাত আমি তার কথা শুনে অবাক হলাম ,বললাম কেন
নাহার :- তুই খাওয়াইবি কিনা বল।
– আগে বল কেন?
নাহার :- আগে বল খাওয়াইবি কিনা
-হ তবে আগে যানতে ত হবে কিসের জন্য তরে মিষ্টি খাওয়াব
নাহার :- তুই নাকি (…)পাখিকে প্রপোজ করছত
আমি তার কথা শুনে হাসতে লাগলাম, এবং বুঝতে পারলাম মেয়ে টা কিছু টা পজেটিভ ।তারপর হতে চেট একটু গুরুত্ব সহকারে শুরু করলাম,পাখি টাকে পটাইতে পাক্কা ৩ মাস সময় লাগছে, কলেজে গিয়ে প্রতিদিন দেখতে লাগলাম আমার বন্ধুরা টিটকারি মারতে থাকে। পাখি তার ফোন নাম্বার দেয়। তা ফোনে কথা শুরু করলাম।পাখি ও দেখি আমার প্রতি অনেকটা দুর্বল হয়ে পরেছে। প্রতিদিন কলেজে যাইতাম লুকচুরি করে তাকে দেখতাম সে ও আমাকে দেখত। একদিন দেখা নাহলে দুজনের ই মন খারাপ হত।৭মাস চলে কিন্তু কেউ ই I love u বলি নাই।রমজান মাসে কদর রাতে ও ফোনে আমাকে আই লাভ ইউ বলে ।সেদিন সারা রাত কথা বলেছিলাম।সে কিযে এক অনুভুতি বলার বাইরে,
পাখির অনেক রাগ ছিল। আমার প্রায় সময় ফোন নাম্বার ব্লক করে রাখত।আমি কখনো ই রাগ করে থাকতে পরতাম না, আমি যখন রাগ করতাম সে আমার চেয়ে বেশি রাগ করত। পাখি ও আমার প্রতি রাগ করে থাকতে পরতনা।আমি তার মোবাইল এ মাঝে মাঝে ১০ টাকা পাঠাইতাম। সেই টাকা দিয়ে আমার সাথেই কথা বলত।প্রেম চলতেছে ১০ মাস। পাখি আমায় প্রচুর লাভ করত……..আমরা একদিন দেখা করলাম। ও সেদিন বলল তুমি bsc করবানা ?আমি বললাম হা করব একটা চাকরি করি তার পর । তখন পাখি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বলতেছে,
পাখি:- আমি চিন্তা করছি আমি একটা চাকরি করব আর সেই টাকা তোমায় দিব তুমি bsc করবে
– তুমি বি এস সি করবা না
পাখি :- না
– কেন?
পাখি :- এমনি ই –বেশি কথা বলবানা যেইটা বলছি সেইটাই।
তখন আমি বললাম দেখ আমার ফ্যামিলিটাই একটু নিচু আর আমার আত্তীয় স্বজন রা সবাই বড়মাপের ।কেউ ডাক্তার কেউ engr, কেউ ব্যবসায়ী, আর আমি চাইনা তাদের সামনে ছোট থাকি। সে কিছু ই বলে না। তখন আমার মোবাইল নিয়ে আমার অনেক গুলো ছবি তুলে, সেই ছবি গুলো এখনও আছে, আমার হাতে একটু বেশী পশম। পাখি সেই পসম গুলো ধরে টানত আলতো করে আর বলত তোমার এই পসম গুলো আমার কাছে অনেক ভাল লাগে।.. তার সাথে যত বার ই দেখা করেছি কখনোই তার মোবাইল ধরতে দিতনা । কেন দিতনা তাও যানি না। সেই দিন ই যাদুঘর এ থাকা অবস্থায় তার মোবাইল এ দুটা sms আসে আমি দেখতে চাইলাম তখন দিলনা। আমি ask করলাম কে sms করছে আমি দেখলে কোন সমস্যা। সে বলে না…. তাহলে দেখাও। তারপর ও দেখাল না বলে আমার খালাত ভাই। আমার একটু কষ্ট হল যে আমায় দেখানো যাবে না এমন কি sms করছে। তখন তাকে আমি পাক্কা ১ ঘন্টা বুঝাই, I বলি দেখ পাখি আমি যানি না কার sms আর কি আছে sms এ।যদি তোমার অন্য কাউকে ভাল লেগে থাকে তাহলে এখনও অনেক সময় আছে বন্ধু হিসেবে বলতে পর আমি তোমার লাইফ থেকে সরে যাব। তখন সে একটা কথা ও বলে না শুধু কান্না করছে। তখন সেখান থেকে চলে আসি। পরে পাখি সরি বলছে। একদিন তার fb id চাইলাম সে দিতে নারাজ। কেন দিবানা বলে আমার fb id দিয়ে তুমি কি করবা I কিছু করবনা just দেখব তুমি কার কার সাথে chat koro তখন সে এমন ভাব দেখাল যে রিলেসন রাখতে পারবে না id o দেওয়া যাবেনা । কিছু দিন পর id টা দেয় । ৩ দিন ছিল তারপর pass পরির্তন করে ফেলে। বললাম কেন pass পালটাইছ সে বলে আমার ইচছা।তখন ঝগরাটা হয় ।. সে আমার আইডি চাইলে আমি সাথে সাথে দিয়ে দেই।
পরে সব ঠিক ঠাক ই চলতেছিল। আমরা আবার দেখা করব সেই প্লান মত দেখা ও করি। সেই দিন অনেক আনন্দ ও করি। কিছু খাবার অর্ডার করি, কিছুক্ষন পর খাবার চলে আসে ।এখন ত খাবার পালা, পাখি বলে সে খাবেনা আমি বললাম আমিও খাবনা তুমি না খাইলে। তখন ও আমায় খাইয়ে দেয়। কিছুক্ষন পর দেখি পাখি আমার দিকে তাকিয়ে অঝরে কান্না করছে, আমি ও আর চোখের পানি ধরে রাখতে পারি নাই তাকে হারানোর ভয়ে, দুজনেই ইচ্ছা মত কান্না করলাম। তার পর হতে মনে হলে পাখি কে শুধু শুধু সন্দেহ করি পাখি ত আমায় ছাড়া কিছুই বুঝেনা।
৮ম পর্বের শুধু ভাইভা বাকি। এর মাঝে পাখি আমার সাথে কথা বলা কমিয়ে দিয়েছে, সে তখন এক মাদ্রাসায় চাকরি করত সকালে যেতে হয় আছর নামাযের পরে আসে।আমি তাকে হাজার বার বলেছি তুমি মাদ্রাসা হতে এসে ই আমাকে কল দিবা সে কিছু বলেনা, আমাকে মাঝে মাঝে বলত মোবাইল এ টাকা নাই তখন আমি টাকা পাঠাইতাম, সেই টাকা দিয়ে আমার সাথে কথা বলত কিন্তু মাদ্রাসা থেকে এসে কখনোই ফোন দিতনা। একদিন আছর নামাযের পরে কল দিলাম দেখি সে waiting। পরে তাকে ask করলাম সে বলে তার বন্ধুর সাথে কথা বলছিল।, আচ্ছা ভাল কথা আমি তোমার বন্দুকে ফোন করে দেখি কি কথা বলছ।তখন ত সে রেগে ফায়ার হয়ে বলে কেন আমি বলেছি সেটা বিশ্বাস করনা, তখন আমি বলি বিশ্বাস করলাম। ত just তোমার বন্দুকে ask করব কি কথা বলছ। তখন সে পুরাই পলটি নিল আমার সাথে । বলে তুই যদি আমার বন্ধুকে ফোন করিস তাহলে তর সাথে আমার কোন সম্পর্ক নাই। এই রকম কয়েক দিন হয়েছে, শেষমেস একদিন বলি তুমি সত্য কথা বলত কারসাথে কথা বলছ সে বলে এখন কথা বলতে ইচ্ছে করতেছে না। বলেই লাইনটা কেটে দেয় ।একটু পরে আবার ফোন দেই দেখি waiting। তখন ত আর ভাল লাগেনা। কি করব waiting ত waiting আমি যে তাকে ফোন করছি তার কোন খোজখবর ই নাই, এদিক দিয়ে ত আমার মনে ঝর বয়ে যাচ্ছে। নিরুপায় হয়ে বসে রইলাম, মসজিদে গিয়ে নামাজ পরলাম ,কিছুক্ষন কান্না করলাম, আমার আবার কান্না করলে মনের দুঃখ কিছুটা হালকা হয়,ভাল লাগতেছিলনা সারাদিন কিছু খাই নাই। রাত ১০টার দিকে আবার ফোন দিলাম দেখি waiting ।তখন ফোন টা বিজি দেখিয়ে লাইনটা কেটে দেয় ।পরে আবার ফোন করি দেখি কল হচ্ছে কিন্তু ধরতেছেনা ।আবার দিলাম ধরল বলে এত ফোন কর কেন দেখছনা কথা বলছি। তখন আমি বললাম কার সাথে এত ইনপরটেন্ট কথা বল যে আমি ফোন দিছি সেটা তোমার কাছে ইনপর্টেন্ট না। সে বলে কি বলবা তারাতারি বল আমার কাজ আছে।কিছু কথা কাটা কাটির পর বলে তর সাথে আমার কোন কথা নাই বলেই লাইন টা কেটে দিল, আবার ফোন দিলাম ধরে না, আবার দিলাম দেখি বিজি মানে ব্লক লিস্টএ রেখেছে বিজি ত বিজি ই ,২ দিন ছিল। কত sms করছি যে জান আমার যদি ভুল হয়ে থাকে মাফ করে দাও, তুমি জাননা আমি তোমার সাথে কথা না বলে থাকতে পারিনা, কিন্তু কোন রিপ্লাই আসে নাই। আগেত এ রকম হাজার বার হয়েছে, কিন্তু এবার কেন জানি মনে হচ্চে পাখি মনে হয় আমার সাথে আর রিলেশন রাখবেনা। এই কথা যখন ই ভাবতাম তখন ই নিজেকে নিয়ন্ত্রন করতে পাতাম না, খাওয়া দাওয়া ত একবারে ই ছেড়ে দিলাম কিছু ই খাইতে মনে চায়না।
দুদিন পর পুরাতন sms ও তার ছবি দেখতে ছিলাম হঠাত দেখি পাখির ফেসবুক এর আইডি pass. মনে মনে ভাবতে লাগলাম এই pass ত পালটায়া ফেলছে হয়ত, অনেক আগে দিছিল। যাক ট্রাই করে দেখলাম fb ওপেন হইছে ঢুকার সাথে সাথে একজন নক করল মাহুমুদ নামে । বলে কি এতক্ষন কইছিলে ?আমিও রিপ্লে দিলাম কাজ ছিল। তারাতারি করে পাসওয়ার্ড চেন্জ করি। মাহুমুদের সাথে চেট করা শুরু করলাম আর পুরাতন chat দেখতে লাগলাম। দেখে আমি অবাক হয়ে গেলাম, আমার হাত পা কাপতে থাকে মাটিতে বসে পরি নিজে কন্ট্রোল করা চেষ্টা করি। মাহুমুদ এর সাথে চেট করি
মাহুমুদ : কেমন আছ I
– alhamdulillam
মাহুমুদ : কি কর I
-বসে আছি ভাল লগতেছেনা
মাহুমুদ : কেন I
-আর বইলনা ছোট ভাই আমার মোবাইল এর সব নাম্বার ডিলিট করে ফেলছে।
মাহুমুদ : oooo I :
-আচ্ছা একটা কাজ কর
মাহুমুদ : কি I
– ফোন করব তুমার নাম্বার টা দাও
মাহুমুদ : কেন তোমায় না সকালে ও ফোন করেছি। I
– নাম্বার টা দেও
মাহুমুদ : বলে কে তুমি I

Loading...
পড়ুন  স্বপ্নদোষ যদি না হয়, তবে কি বাবা হওয়া যায়না?

প্রত্যেকবার সেক্স করার পর প্রমিজ করি অার করবোনা কিন্তু সুযোগ পেলে ….. বিস্তারিত পড়ুন
ভয়েছ মেসেজ পাঠাই।তারপর ও তার নাম্বার টা পাই না। কিছুক্ষন পর পাখি ই ফোন করে আর বলে তুই আমার id র পাসওয়ার্ড চেন্জ করছত কেন। তখন আমিও তাকে ইচ্ছে মত বকি ।অনেক কান্না করি অথচ এতে তার মন বিন্দু মাত্র নরম হয়না। ওইদিন সারা রাত কথা বলি, আর তাকে অনেক কিছু বলি অনেক বুঝাই। বলি দেখ জান পাখি আমি তোমার গোপনীয়তা সবকিছু যানছি, তবু বলছি তুমি সংশোধন হয়ে ফিরে আস। আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিব। আমি তোমাকে ছাড়া বাচতে পারনা। এই দুদিন কথা বলনাই আমার অনেক কষ্ট হইছে। তার মনটা বিন্দু মাত্র গলেনাই । খালি বলে পাসওয়ার্ড দে। আমি বললাম দিবনা। তারপর বলে আমার আইডি দিয়ে তুই যা ইচ্ছা কর। আমার কোন আসে যায় না।
তারপর হতে যখন ই ফোন দিতার দেখতাম waiting আমার ফোন আর ধরে না। তার fb তে ঘাটাঘাটি করে দেখি আরো ৩ জনের সাথে প্রেম already চলতেছে। তাদের কে আমার বিষয় জানাই তারা বিশ্বাস করে না। তারপর তাদের কে কনফারেন্স কল করে শুনাইলাম। তখন বিশ্বাস করছে বাট কেউ ই তার সাথে কথা বলা বন্ধ করে নাই। কেউ দিনে কথা কয় কেউ রাতে কথা কয়। আমি আর পরতেছি না কি করব বলে দেন বন্ধুরা। আমার গল্পে সাথে কারো জীবনের সাথে মিলে গেলে আমি আন্তরিক ভাবে sorry ।আমি তার এতকিছু জানলাম তবুও তার প্রতি কেমন যেন এডিকটেড হয়ে গেছি ভুলতে পাতেছিনা।

পড়ুন  রোজা ভাঙ্গার কারণ কি কি?

 

আপনার ডক্টরের পরামর্শঃ আপনার ডক্টরের নিয়মিত পাঠকদের কারো কোন ভালো পারমার্শ থাকলে প্রশ্নকর্তাকে পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করবেন।ধন্যবাদ

ফেসবুক কমেন্ট

comments

About সাদিয়া প্রভা

সাদিয়া প্রভা , ইন্ডিয়ার Apex Group of Institutions এর BBA এর ছাত্রী ছিলাম। বর্তমানে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য বিয়সক তথ্য নিয়ে লেখালেখি করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.